যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া মেতেছে ঠাণ্ডা লড়াইয়ে
নিজস্ব প্রতিবেদক
সিরিয়ায় ঠাণ্ডা লড়াইয়ে লিপ্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া। প্রতিপক্ষ দেশ দুটির উপলব্ধি করা উচিত, ঠাণ্ডা লড়াইয়ের যুগ গত হয়েছে এবং তাদের শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে এ সঙ্কটের সমাধানে এগিয়ে আসা উচিত বলেও মন্তব্য করেছে চীনের শীর্ষস্থানীয় এক পত্রিকা।
সম্প্রতি সিরিয়ায় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে রুশ বিমান হামলা শুরু হওয়ার পর মঙ্গলবার চীনা ক্ষমতাসীন দলের দৈনিক ‘দা পিপলস ডেইলি’তে এই সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এ খবর প্রকাম করে
সিরিয়ার ওপর প্রকাশিত সংবাদভাষ্যটিতে বলা হয়েছে, সিরিয়া নিয়ে ঠাণ্ডা লড়াইয়ের দিনগুলোর মত কূটনৈতিক ও সামরিক প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া।
পত্রিকাটির অভিযোগ করে বলে, ওয়াশিংটন ও মস্কো তৃতীয় একটি দেশের মাটিতে প্রভাব বিস্তারের জন্য সব ধরণের কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। প্রতিদ্বন্দ্বী ওই দেশ দুটি পুরনো দিনের ঠাণ্ডা লড়াইয়ের মতই পরস্পরের বিরুদ্ধে আঘাত ও প্রতিঘাতের খেলায় মেতে ওঠেছে। কিন্তু আমরা এখন একবিংশ শতাব্দীতে রয়েছি। দেশ দুটির এই বাস্তবতা মাথায় রাখা উচিত।
সিরিয়ার আভ্যন্তরীণ বিষয়ে মস্কো ও ওয়াশিংটনের নগ্ন হস্তক্ষেপেরও সমালোচনা করেছে পিপলস ডেইলি।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে সিরিয়ায় জিহাদিদের বিরুদ্ধে বিমান হামলা শুরু কেরছে রাশিয়া। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলো এই হামলার সমালোচনা করে বলেছে, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বশির আল আসাদকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতেই এ হামলা শুরু করেছে মস্কো। এতদিন ধরে সিরিয়ায় জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছিল মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট। তারা আসাদের পতনকেই সিরিয়া সঙ্কটের একমাত্র সমাধান বলে মনে করে।
সিরিয়ার গৃহযুদ্ধকে ‘প্রক্সি ওয়ার’ হিসেবে উল্লেখ করে পিপলস ডেইলি বলছে, ওই দেশ দুটির এ যুদ্ধে সরকার বা বিরোধী দল কারো পক্ষ না নিয়ে এর একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানের চেষ্টা চালানো উচিত।
পত্রিকাটির ভাষায়,‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মত বৃহৎ দেশগুলো, যাদের সিরিয়ার ওপর ব্যাপক প্রভাব রয়েছে, তাদের জরুরি ভিত্তিতে এই সঙ্কটের একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান খুঁজে বের করা উচিত।’
একই দিনে ‘জং শেং’(চীনের কণ্ঠ) নামের এক কলামে ওই ধারাভাষ্যটি প্রকাশিত হয়। এই কলামটিতে বিশ্ব রাজনীতির ওপর প্রায়ই নানা মন্তব্য প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়ে থাকে।
মধ্যপ্রাচ্যের তেলের ওপর নির্ভরশীল হলেও ওই অঞ্চলে কূটনৈতিকভাবে কখনোই তেমন প্রভাবশালী ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারেনি চীন। যদিও শুরু থেকেই তারা বলে আসছে, সামরিকভাবে সিরিয়া সঙ্কটের সমাধান করা যাবে না।
প্রতিক্ষণ/এডি/জেএম